ডেস্ক নিউজ:
ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রকাশনা সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি আবু সাদিক কায়েম বলেছেন, সমগ্র দেশের মুক্তিকামী ছাত্র-জনতাকে খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আয়োজিত ‘রান উইথ জবি শিবির’ কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাদিক কায়েম বলেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ খুনি হাসিনা ও তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঠিকানা হবে না। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো গুপ্ত অবস্থায় আছে, সবাইকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করব। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বাংলাদেশ থেকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গি সংগঠন—এদের প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জকসুর তারিখ পেছানোর জন্য ওপর থেকে কারও ‘ওহী নাজিল’ হয়েছে বলে মনে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই—আপনারা পক্ষপাতিত্ব করবেন না। আমরা চাই না শিক্ষক বনাম ছাত্র পরিস্থিতি তৈরি হোক।
শরীরচর্চা প্রসঙ্গে কায়েম বলেন, আজকের ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচিতে আমি শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখেছি। তরুণ প্রজন্ম যদি দেশের জন্য কিছু করতে চায়, তবে তাদের শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্রশিবির এমন সৃজনশীল ও ইতিবাচক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, যা ফ্যাসিস্ট আমলে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
দৌড় কর্মসূচিতে অংশ নেয় দুই হাজারের বেশি শিক্ষার্থী
‘চলো একসাথে হাঁটি, একসাথে দেশ গড়ি’ স্লোগানকে ধারণ করে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে দুই হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেন। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে শুরু হয়ে কোর্ট এলাকা, রায় সাহেববাজার মোড়, ধোলাইখাল ঘুরে ধূপখোলা মাঠে গিয়ে এটি শেষ হয়।
শাখা সূত্রে জানা গেছে, অনলাইনে প্রায় তিন হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আগ্রহ প্রকাশ করে।
শিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিগবাতুল্লাহ সিগবা বলেন, বাংলাদেশ এখন এক গভীর সংকটের মধ্যে আছে। এই সময়ে তরুণ প্রজন্মই পারে দেশকে রক্ষা করতে। আমাদের তরুণরা যদি সচেতন ও ফিট থাকে, তবে কোনো ফ্যাসিবাদী বা বিদেশি আধিপত্যবাদী শক্তি বাংলাদেশে মাথা তুলতে পারবে না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম বলেন, আমাদের এ কর্মসূচির মূল প্রতিপাদ্য ‘চলো একসাথে হাঁটি, একসাথে দেশ গড়ি’। শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ না থাকলে দেশগঠন সম্ভব নয়। শিক্ষার্থীদের আগ্রহ দেখে আমরা অনুপ্রাণিত হয়েছি।
কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত বলেন, সকাল সকাল ক্যাম্পাসে গিয়ে এমন পরিবেশ পাব ভাবিনি। অসাধারণ লেগেছে! ধন্যবাদ ছাত্রশিবির জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে।
শিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক সম্পাদক মোহতাসিম বিল্লাহ শাহিদী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শরীরচর্চার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেই। আজকের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখে বোঝা যায়, তারা শারীরিকভাবে ফিট থাকতে চায়। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই—শরীরচর্চার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো দ্রুত গড়ে তোলা হোক।
সাদিক কায়েম বলেন, খুনি হাসিনা ও তার দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের সর্বদা সজাগ থাকতে হবে। জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের দোসররা বাংলাদেশ থেকে পালিয়েছে। আগামীর বাংলাদেশ খুনি হাসিনা ও তার নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ-যুবলীগের ঠিকানা হবে না। ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো গুপ্ত অবস্থায় আছে, সবাইকে শনাক্ত করে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা তাদের ধরে পুলিশের হাতে সোপর্দ করব। খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বাংলাদেশ থেকে সমূলে উৎপাটন করতে হবে। নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ-ছাত্রলীগ একটি জঙ্গি সংগঠন—এদের প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
জকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জকসুর তারিখ পেছানোর জন্য ওপর থেকে কারও ‘ওহী নাজিল’ হয়েছে বলে মনে হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাই—আপনারা পক্ষপাতিত্ব করবেন না। আমরা চাই না শিক্ষক বনাম ছাত্র পরিস্থিতি তৈরি হোক।
শরীরচর্চা প্রসঙ্গে কায়েম বলেন, আজকের ‘রান উইথ শিবির’ কর্মসূচিতে আমি শিক্ষার্থীদের উৎসবমুখর পরিবেশ দেখেছি। তরুণ প্রজন্ম যদি দেশের জন্য কিছু করতে চায়, তবে তাদের শারীরিকভাবে ফিট থাকতে হবে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই ছাত্রশিবির এমন সৃজনশীল ও ইতিবাচক কার্যক্রম চালিয়ে আসছে, যা ফ্যাসিস্ট আমলে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জবি শিবিরের সাবেক সভাপতি মাকসুদুর রহমান, আসাদুল ইসলাম, শাখা সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল আলিম আরিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ জাহেদ, ও অফিস সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
বি/এ