ডেস্ক নিউজ:
লাখো মানুষের উপস্থিতি আর বাউল সাধুদের মিলন মেলায় মুখর ছেঁউড়িয়ায় লালন সাঁইজির আখড়াবাড়ি। দেশ-বিদেশ থেকে ছুটে এসেছেন লালন অনুসারী সাধু-গুরুরা। তারা গাইছেন, সত্য বল দু-পথে চল ওরে আমার মন।
লালন সাঁইজির ১৩৫তম তিরোধান দিবস উপলক্ষে এবার জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে লালন স্মরণ উৎসব। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে শুক্রবার লালন সাঁইজির ওপর আলোচনায় অংশ নেন দেশ-বিদেশের সাহিত্য সমালোচক ও তাত্ত্বিকরা।
অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচক ছিলেন গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক। গায়ত্রী চক্রবর্তী তার বক্তব্যে লালনকে বহুমাত্রিকভাবে উপস্থাপন করেন তার গানে গানে।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজার ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার প্রমুখ।
সাংস্কৃতিক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী উপস্থিত না হতে পারলেও পাঠান ভিডিও বক্তব্য। আলোচনা সভা শেষে প্রয়াত লালন সংগীত শিল্পী ফরিদা পারভিনের স্মরণে একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
তিন দিনের অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা এবং লালন সংগীতের আসর। প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলবে লালন গান।
তিন দিনব্যাপী এ আয়োজনে আগেভাগেই ছেঁউড়িয়ায় জড়ো হয়েছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের লাখো মানুষ। এমন জনস্রোত আগে কখনো হয়নি বলে জানান বাউল-সাধুরা।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন জানান, উৎসবকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় প্রশাসন সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।