বিডিনিউজ ডেক্স
সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে যমুনা নদীতে বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজির সময় হাতেনাতে দশজনকে গ্রেপ্তার করেছে নৌ-পুলিশ। আজ শনিবার তাঁদের চাঁদাবাজি মামলায় আদালতে পাঠাবে চৌহালী থানা পুলিশ।
তারা হলেন মিজানুরের ছেলে আল আমিন (২৪), আ: খলিফার ছেলে মো: নজরুল ইসলাম (৪৫) মৃত লতিফ সিকদারের ছেলে ইউপি সদস্য মো: মানিক সিকদার, আবুল হোসেন সিকদারের ছেলে মো: শহীদুল ইসলাম (৩৫), আবদুল হামিদের ছেলে আবদুল আলীম (৪০),মৃত আমোদ আলীর ছেলে শরীফুল ইসলাম (৩৫),সোলেমান সিকদারের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩৫), ইউসুফ আলীর ছেলে ইউনুস আলী( ২৬),মৃত সন্তোষ আলীর ছেলে মো: শহীদুল ইসলাম (৪৫) ও মকবুল হোসেনর ছেলে ফরিদ হোসেন(২৬) তাঁদের সবার বাড়ি উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের রেহাই কাউলিয়া গ্রামের ।শনিবার (১৫ নভেম্বর) সকালে উপজেলার ঘোড়জান ইউনিয়নের রেহাই কাউলিয়া মুরাদপুর অংশে উজানে যমুনা নদী থেকে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের নামে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন হেলাল উদ্দিন মন্ডল নামের এক ভুক্তভোগী।
চৌহালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একজন তার বাল্কহেডে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর ইজারা করা বালুমহাল থেকে সিরাজগঞ্জের-যমুনা দিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে নৌপথে প্রতিদিন শত শত বাল্কহেড নিয়ে যান ব্যবসায়ীরা। এসব বালু বহনকারী বাল্কহেড থেকে একটি চক্র প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে।
চৌহালী নৌ-পুলিশের আইসি ফিরোজ আহম্মেদ জানান, নদীতে বালুভর্তি বাল্কহেড থেকে চাঁদাবাজি করার সময় তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এ সময় তাদের কাছ থেকে একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা, নগদ দুই হাজার টাকা ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চাঁদাবাজির মামলার প্রস্তুতি চলছে।