ডিসেম্বর 12, 2025

স্থান :

/

/

জুলাইয়ের বিশ্বাসঘাতকদের প্রতিহত করতে হবে: ডা. তাহের

আগস্ট 3, 2025

নিউজ ডেস্ক:

জুলাইয়ের চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামির নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, জুলাইয়ের ফসল ভোগকারীদের মাঝে বিশ্বাসঘাতকতার গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। এই বিশ্বাসঘাতকদেরকে চিনে প্রতিরোধ ও প্রতিহত করতে হবে। ক্ষমতার মসনদ থেকে তাদেরকে চিহ্নিত করে বের করে দিতে হবে।

রোববার বিকালে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী ছাত্রশিবির ঘোষিত ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান–২০২৪’ শীর্ষক স্মৃতি লিখন প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. তাহের বলেন, দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করা, সুষ্ঠু রাজনৈতিক কালচার তৈরি, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ন করার জন্য যা কিছু সংস্কার করার প্রয়োজন এ সরকারকে করতে হবে। না হলে জনগণ ও শহীদদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক হিসেবে ইতিহাস তাদেরকে চিহ্নিত করবে।

তিনি বলেন, যারা সংস্কারে বাধা দিচ্ছে তারা সংস্কারকে গ্রহণ করতে চায় না, যারা সংস্কারের আইনি ভিত্তি অনুভব করে না, তারাই নির্বাচন বিরোধী। তারা নির্বাচনকে বানচাল করতে চায়। তারা যেনতেন নির্বাচন করে বাংলাদেশকে আবার পিছিয়ে সেই ১৫ বছরের জঞ্জালে নিয়ে যেতে চায়।

সরকারকে বলব, যেখানে যেখানে সংস্কার প্রয়োজন-নির্দ্বিধায় করতে হবে। কোন দল মানে আর কোন দল মানে না-বাংলার জনগণ এটা শুনতে চায় না। একথা বাংলাদেশের মানুষ মানে না।

তিনি বলেন, আমরা বড় ধরনের চক্রান্তের কথা শুনছি। আমাদের চেতনাকে আবার মুছে ফেলার জন্য, রাষ্ট্র কাঠামোকে আবার পূর্ণভাবে উল্টে ফেলার জন্য এবং জুলাইয়ের চেতনাকে নস্যাৎ করার জন্য চক্রান্ত হচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা সবসময় ছিল, থাকবে। এ বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান করব, তবে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। তবে ষড়যন্ত্রকারী নয়, বিশ্বাসঘাতকদের নিয়ে একটু আতঙ্কিত হই। কারণ কাজের মানুষ বিশ্বাসঘাতকতা করলে তা মোকাবেলা করা কঠিন হয়ে যায়।

ডা. তাহের বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে তিনটি কথা বলেছিলাম। সংস্কার ও খুনি-দোষীদের দৃশ্যমান বিচার সুস্পষ্টভাবে অর্জনের পর নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। আমরা নির্বাচন চাই। কিন্তু যেনতেন নির্বাচন চাই না। আমরা হাসিনা মার্কা লুটপাট, কেন্দ্র দখলের নির্বাচন চাই না। দিনের নির্বাচন রাতে অনুষ্ঠিত হওয়া চাই না। তিনি শহীদ পরিবার ও আহতদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি সরকারসহ সকল পক্ষকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, আন্দোলনে ত্যাগ ও অবদান রাখা সকল শ্রেণির মানুষ যাতে বৈষম্যহীনভাবে যেন যার যার প্রাপ্যতা সঠিকভাবে পেতে পারে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেন, জুলাইকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধারণ করতে হবে। কেউ যেন এটাকে বিকৃত করতে না পারে। তিনি একবছরের গণহত্যার বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বিচারে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। বিচার দ্রুত করতে হবে। তিনি বলেন, জুলাইয়ের চেতনা ধারণ করে রাষ্ট্রকে যেভাবে পরিচালনার দরকার ছিল তা দেখা যাচ্ছে না। রাজনৈতিক দলগুলোতে জুলাইয়ের চেতনা ধারণে ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে শিবির সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম, শহিদ পরিবারের সদস্য, জুলাই যোদ্ধা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা বক্তব্য দেন। এসময় জুলাই স্মৃতি লেখা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৫০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

টপিক :

স্থান :

/

/

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো দেখুন