ডেস্ক নিউজ:
৬ষ্ঠ নিয়োগ সুপারিশে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) থেকে চূড়ান্তভাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েও প্রতিষ্ঠানের ভুল চাহিদা ও কারিগরি জটিলতার কারণে যোগদান করতে পারেননি কিছু সংখ্যক প্রার্থী। এই প্রার্থীদের একটি অংশ দ্রুত অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে প্রতিস্থাপনের দাবি জানিয়েছিলেন। তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে এবার প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে এনটিআরসিএ। বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির আগেই এদের প্রতিস্থাপন করা হবে।
সূত্র জানায়, ভুল চাহিদায় ৪০০টির বেশি আবেদন জমা পড়লেও প্রতিস্থাপনের জন্য ৩২০টি আবেদন চূড়ান্ত বাছাই করা হয়েছে। এই প্রার্থীদের বিশেষ গণবিজ্ঞপ্তির আগেই প্রতিস্থাপন করা হবে।
এর আগে বিষয়ে এনটিআরসিএর একজন কর্মকর্তা বলেন, ভুল চাহিদায় যারা সুপারিশ পেয়েছেন তাদের আবেদন জমা পড়েছে। তাদেরকে কীভাবে প্রতিস্থাপন করা যায় সে বিষয়ে এনটিআরসিএ কাজ করে যাচ্ছে।
অপরদিকে প্রার্থীরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, তারা ৬ষ্ঠ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে সুপারিশপ্রাপ্ত হলেও প্রতিষ্ঠানের ভুল চাহিদা, প্যাটার্নজনিত সমস্যা, নন-এমপিও পদে বা বিষয়ভিত্তিক অসামঞ্জস্যের কারণে যোগদান করতে পারেননি। ফলে তারা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে ভুগছেন।
এনটিআরসিএ চেয়ারম্যান বরাবর দেয়া এক স্মারকলিপিতে তারা বলেছিলেন হয়, ৬ষ্ঠ নিয়োগ সপারিশ বিজ্ঞপ্তি-সুপারিশকৃত বিষয়ে কোনো শূন্যপদ নেই বা ২০২৬-২০২৭ খ্রিষ্টাব্দে পদশূন্য হবে, আবার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জনবল কাঠামো বা আমাদের সুপারিশপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে পারিনি। আমাদের মধ্যে কেউ এমন প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছে যেখানে প্যাটার্ন জনিত সমস্যার কারণে যোগদান করতে পারিনি, কেউ আবার নন এমপিও পদে, আবার কেউ জেনারেল থেকে টেকনিক্যাল এ সপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি।প্রার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো ছিলো: ভুল চাহিদায় সুপারিশপ্রাপ্ত সবাইকে নভেম্বরের শেষ সপ্তাহের মধ্যে প্রতিস্থাপনের জন্য বিনীত অনুরোধ করছি। রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমাদের নভেম্বরের মধ্যেই প্রতিস্থাপন নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি। নতুন যে প্রতিষ্ঠানে প্রতিস্থাপন করা হবে সেসব প্রতিষ্ঠানের শূন্যপদগুলো যথপোযুক্ত যাচাই বাছাই করে নির্ভুল পদে সুপারিশ করার অনুরোধ করছি। আমাদের নিজ উপজেলায়-জেলায় প্রতিস্থাপন করার অনুরোধ করছি।
বি/এ