ডিসেম্বর 29, 2025

স্থান :

/

/

পাবনার আটঘরিয়ায় শিক্ষকের পিটনিতে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে।

ডিসেম্বর 23, 2025

পাবনার আটঘরিয়ায় শিক্ষকের পিটনিতে ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে

নিউজ ডেস্ক
অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচারের দাবিতে সোমবার বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন শহীদ আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভ মিছিলটি খিদিরপুর বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা।
মৃত জেসমিন উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে। সে খিদিরপুর শহীদ আব্দুল খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

অভিযোগে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর একটি বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে ক্লাশে প্রবেশ করে জেমি। এ সময় ক্লাশ শিক্ষিকা মিনোয়ারা খাতুন শিক্ষার্থী জেমি খাতুনের কাছে মোবাইল ফোন দেখে ক্লাশরুমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও অপমান করেন। পরে খন্ডকালীন শিক্ষিকা সালমা খাতুন শিক্ষার্থী জেমি খাতুনকে ক্লাশরুম থেকে ডেকে কমনরুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে বেত দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে জেমির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। অপমান অপদস্থ করে স্কুল থেকে বের করে দেন।

শিক্ষিকার এই বেধড়ক মারপিট ও অপমান সহ্য করতে না পেরে শিক্ষার্থী জেমি ঘটনার দিন বিকালে দাদির বাড়িতে বিষপান করে অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে জেমির পরিবার বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে জেমিকে আটঘরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থা অবনতি ঘটলে তাকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ নভেম্বর সকাল সাড়ে ৮টার সময় জেসমিন মারা যায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মিনোয়ারা ও সালমা খাতুনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
আটঘরিয়া থানার ওসি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ/আর

টপিক :

স্থান :

/

/

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো দেখুন