- ভাঙ্গুড়ায় ডাকাতি ৫ সোনার দোকান ও ৩ বাড়ি লু
ডেস্ক নিউজ
পাবনায় একটি সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের ভয়ঙ্কর অভিযানে পাঁচটি সোনার দোকান এবং কয়েকটি ব্যবসায়ীর বাড়ি লুট হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ভাঙ্গুড়া উপজেলার অষ্টমণিষা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় প্রায় ২ কোটি টাকার স্বর্ণালংকার এবং নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা। ডাকাতির সময় স্থানীয়দের ফোন করে সাহায্য চাওয়া হলেও কেউ এগিয়ে আসেনি, যা এলাকায় চরম আতঙ্ক ও হতাশা সৃষ্টি করেছে।
পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের দ্রæত গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছেন।
সিসিটিভি ফুটেজ এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুসারে, ১০ থেকে ২৫ জনের একটি সশস্ত্র ডাকাত দল ¯িপডবোটে করে গুমানী নদী দিয়ে বাজারে প্রবেশ করে। তারা প্রথমে বাজারের দুই নৈশপ্রহরীকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বেঁধে রাখে। এরপর দোকানের তালা ভেঙে সোনার দোকানগুলোতে লুটপাট শুরু করে। বাজার সংলগ্ন বাড়িঘরে প্রবেশ করে পরিবারের সদস্যদের মারধর করে অর্থ-স¤পদ ছিনিয়ে নেয়। লুটপাটের পর ডাকাতরা ভোর সাড়ে চারটার দিকে ¯িপডবোটে করে নদীর ভাটির দিকে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন-ডাকাতদের হাতে বন্দুক, ধারালো অস্ত্র এবং অন্যান্য সরঞ্জাম ছিল, যা তাদের প্রতিরোধ করা অসম্ভব করে তুলেছিল।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, লুট হয়েছে অন্তত ৪০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং প্রায় ২ কোটি টাকার নগদ অর্থ। আফতাব জুয়েলার্সের নগদ ৪০ লাখ টাকা এবং প্রচুর স্বর্ণালংকার, তপন জুয়েলার্সের নগদ ৪২ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার, রতন জুয়েলার্সের নগদ অর্থসহ ৪৫ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার লুট হয়েছে। এছাড়া পরিবারের সদস্যদের মারধর করে আহত করা হয়েছে।
অন্যান্য দোকান-উত্তম জুয়েলার্স, মধু জুয়েলার্স, মা জুয়েলার্স এবং আখি জুয়েলার্স থেকেও স্বর্ণালংকার ও নগদ লুট হয়েছে, যা মোট লুটের পরিমাণকে বাড়িয়ে তুলেছে।
রতনের ছেলে রঞ্জন কর্মকার জানান, দুর্বৃত্তরা দোকানের তালা ভেঙে স্বর্ণ লুট করে, তারপর বাড়িতে ঢুকে আমার মা ও আমাকে মারপিট করে দশ ভরি স্বর্ণ এবং নগদ ১৫ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ভাঙ্গুড়া থানার ওসি বলেন, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষীদের দ্রæত গ্রেফতার করা হবে।
এ/আর