বিডি নিউজ ডেস্ক:
যশোরে ‘আয়নাবাজি’ সিনেমার মতো মামার পক্ষে আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে কারাগারে গেছেন ভাগনে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে এ ঘটনা ঘটেছে। কারা অভ্যন্তরে আসামির নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইকালে এটি ধরা পড়ে। পরে কারাগারে যাওয়া আসামিও বিষয়টি স্বীকার করেন।
কারাগারে যাওয়া আসামি মো. শামীম আহম্মেদ (২৭) যশোর সদর উপজেলা ভেকুটিয়া গ্রামের জামশেদ আলীর ছেলে। শামীম তার আপন ছোট মামা হাসানের পক্ষে প্রক্সি দিতে কারাগারে গেছেন। হাসান বড় ভেকুটিয়া গ্রামের মন্টুর ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভারপ্রাপ্ত জেলার আবিদ আহম্মেদ।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার সূত্রে জানা গেছে, যশোর সদর উপজেলা বড় ভেকুটিয়া গ্রামের হাসানের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানায় ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে গত ২০২৪ সালের ৯ নভেম্বর মামলা দায়ের হয়। কোতোয়ালি থানার মামলা নং-২৪, তারিখ-০৯.১১.২০২৪, জি, আর-৯৩১/২৪ ধারা-৪৪৮/৩২৩/ ৩৫৪/৩৮৪/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ দ. বি.। এই মামলায় আসামি হাসানের বিরুদ্ধে ৩/৪ বার আদালতে হাজিরাও দেন হাসানের ভাগনে শামীম। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) শামীম আদালতে হাজিরা দিতে গেলে অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। ফলে আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে প্রেরণ করা হয় শামীমকে।
এদিকে, শামীম কারাগারে যাওয়ার পর আদালত হতে প্রাপ্ত তথ্য এবং আসামির নাম, পিতার নাম, ঠিকানা যাচাইয়ের সময় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার কথাবার্তা অসংলগ্ন হওয়ায় সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ফলে কারাগারের চৎরংড়হ ও সিস্টেমের মাধ্যমে তার ফিঙ্গার প্রিন্টে (এন আইডি নং-১৯৫৫১৪৭৪৪০) প্রকৃত নাম মো. শামীম আহম্মেদ সনাক্ত হয়।
কারা সূত্র আরও জানিয়েছে, আসামি হাসানের পরিবর্তে কারাগারে যাওয়া শামীম জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে হাসান তার আপন ছোট মামা। মামার পরিবর্তে সে ৩/৪ বার আদালতে হাজিরাও দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর কারা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি প্রতিবেদন আকারে আদালতে প্রেরণ করেছে। এখন আদালতের নির্দেশে শামীমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং মূল আসামি হাসানের বিরুদ্ধেও গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হতে পারে।