ডিসেম্বর 6, 2025

স্লুইসগেটের বেহাল দশা

অক্টোবর 31, 2025

বিডিনিউজ ডেস্ক

রক্ষণাবেক্ষণ ও সংস্কারের অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে খুলনার তেরখাদার স্লুইস গেটগুলো। খালগুলোরও মৃতপ্রায় অবস্থা। এতে পানির প্রবাহ না থাকায় ও বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হওয়ায়  বিভিন্ন ফসল চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।

জানা যায়, তেরখাদা উপজেলার মোট আয়তন ১৮ হাজার ৭৬৯ হেক্টর। উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে প্রায় দেড় লাখ মানুষ বসবাস করেন। অঞ্চলটির প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ কৃষি কাজ করেন। অঞ্চলটি মৌসুমি জলবায়ুর অন্তর্গত গঙ্গা পললভূমি, গঙ্গা কটাল পললভূমি ও গোপালগঞ্জ-খুলনা জৈব মাটির বিলাঞ্চল নিয়ে গঠিত। চাষাবাদ প্রধানত বৃষ্টি নির্ভর হলেও বর্তমানে সেচের মাধ্যমে আধুনিক জাতের বোরো ধানের আবাদ করছেন এ অঞ্চলের কৃষকরা।

উপজেলার পানির প্রধান উৎস নদী ও খাল। বছরের তিন-চার মাস লবণাক্ত থাকে এসব নদী-খালের পানি। এসময় লবনাক্ত পানির প্রবাহ আটকাতে স্লুইস গেটগুলো মুখ্য ভূমিকা পালন করে। খালগুলো নদীর সঙ্গে যুক্ত স্লুইস গেটর মাধ্যমে। কিন্তু খাল ও স্লুইস গেটের সংস্কার না হওয়ায় হুমকির মুখে পড়েছে এ অঞ্চলের চাষাবাদ।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, তেরখাদায় বোরোর আবাদ বেশি হয়। গত বছর ৮ হাজার ৪৬৫ হেক্টর ধান উৎপাদন হয়েছে। এ বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৮ হাজার ৯৪৯ হেক্টর। উপজেলায় ৩৭টি খাল ও ২১টি স্লুইস গেইট রয়েছে। এসব খাল ও স্লুইস গেটের ওপর নির্ভর করে কৃষকরা চাষাবাদ করেন। এর মধ্যে ১৪টি খাল প্রায় মৃত ও ৯টি স্লুইস গেট সংস্কারের অভাবে অকেজো হয়ে আছে। এতে চাষাবাদের জন্য কৃষকরা সঠিকভাবে পানি পাচ্ছেন না।

টপিক :

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

আরো দেখুন